
খালে বাঁধ নির্মাণ করে পানি চলাচল আটকে দিয়েছেন প্রভাবশালীরা। এতে খাল তীরবর্তী গ্রামের কৃষি জমিতে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মিরুখালী-সাফা সংযোগ লাইনের খালে নির্মাণ করা হয়েছে এই বাঁধ। তবে বাঁধ নির্মাণকারীরা বলছেন, ভাঙনের হাত থেকে বাঁচতে এই ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়ন বন্দর হতে ধানীসাফা ইউনিয়নের ভাল্ডারপোল এলাকার পাঁচ কিলোমিটার খালটি একটি নৌরুট। এ খালের সঙ্গে দুই ইউনিয়নের অন্তত ৬টি গ্রামের মানুষ নির্ভরশীল। গ্রামের কৃষিতে এ খাল সেচ সংকট মোকাবেলা করে। এমন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ খালের চারটি স্থানে কতিপয় প্রভাবশালী কৃষি জমিতে লবণ পানির আগ্রাসন আর ভাঙনের অজুহাত দেখিয়ে বাঁধ দেয়। ফলে খালটির পানির প্রবাহ আটকে যায়। এতে খালে নৌ-চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সে সঙ্গে বাঁধ দেয়া খালে কিছু প্রভাবশালী মাছ চাষ করে আসছে।
গত ১০ বছর ধরে প্রবাহমান খালটি এমন দুরাবস্থার কবলে পড়ে। এতে এলাকার দেড় সহস্রাধিক পরিবার ও সাড়ে ৩০০ একর কৃষি জমি জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে।
পাঁচ কিলোমিটার খালের সাফা অংশের ভাল্ডারপোল এলাকা, সাধুবাড়ি সম্মুখ ও মোসলেমের ইটভাটার সম্মুখ খালের আড়াআড়ি মাটি ভরাট করে বাঁধ দেওয়া হয় কয়েক বছর আগে। পরে বাদুরাবাজার সংলগ্ন ওই খালে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী আরও একটি বাঁধ দেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিবদমান দুই পক্ষে চরম বিরোধ দেখা দিলে বাঁধটি পরে কেটে ফেলা হয়।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা পরিষদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন হেলাল মুন্সী বলেন, বাঁধ না দিলে এলাকায় ভাঙন ও কৃষি জমির লবণাক্ততা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বাঁধের স্থানে কালভার্ট নির্মাণ করে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আজ ২৪ প্রতিনিধি, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর